শিরোনামঃ
ব্রিটেনে বেনিফিট জালিয়াতি ঠেকাতে সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নজরদারিতে নতুন ক্ষমতা পাচ্ছে DWP ইউরো ২০২৫-এ ইতিহাস গড়ল ইংল্যান্ড: দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন লায়নেসরা প্রতিনিধিদল যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ২৫টি বোয়িং কেনাসহ বাণিজ্য আলোচনায় ইতিবাচক বার্তা দেওয়ার প্রস্তুতি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী বাড়ছে খাদ্যের দাম ইলন মাস্কের নতুন রাজনৈতিক দল ‘আমেরিকা পার্টি’, ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত রাজনীতি পর্তুগালের নাগরিকত্ব পেতে লাগবে ১০ বছর, অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন জার্মানি ও ইতালির $২৪৫ বিলিয়ন মূল্যের স্বর্ণ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনার চাপ বাড়ছে বিশ্বমুদ্রা ব্যবস্থায় ডলারের আধিপত্য চ্যালেঞ্জের মুখে: চীনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রাশিয়া যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে নিকটবর্তী পারমাণবিক ঘাঁটিগুলো ‘উন্নততর’ করছে গ্যাটউইক ফ্লাইটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, কোনো যাত্রী জীবিত নেই

মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ আরও বাড়ছে।

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশকাল: বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫

মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ আরও বাড়ছে। এবার এই সেবার ওপর ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, যা ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। অচিরেই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

 

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছিল। এবার অন্তর্বর্তী সরকার তা আরও বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করার উদ্যোগ নিয়েছে।

 

বর্তমানে ১০০ টাকার মোবাইল রিচার্জে গ্রাহককে ৫৪.৬ টাকা কর দিতে হয়। এর মধ্যে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ বাবদ ২৮.১ টাকা, রেভিনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স ৬.১ টাকা এবং পরোক্ষ কর ২০.৪ টাকা। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে করের পরিমাণ বেড়ে হবে ৫৬.৩ টাকা। অর্থাৎ, গ্রাহক ১০০ টাকার রিচার্জে ব্যবহার করতে পারবেন মাত্র ৪৩.৭ টাকা।

 

ধাপে ধাপে মোবাইল সেবার খরচ বৃদ্ধির ফলে গ্রাহকের ইন্টারনেট ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ছে। অনেকেই ডাটা ব্যবহারের খরচ কমানোর জন্য সেবার পরিমাণ হ্রাস করছেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী, গত নভেম্বর মাসে দেশে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ, যা জুনের তুলনায় ৭৩ লাখ কম। একই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ৯৭ লাখ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২৮ লাখে।

 

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এ সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “ইন্টারনেট সেবা যেখানে এখনও দেশের ৪৮ শতাংশ জনগণের নাগালের বাইরে, সেখানে কর বাড়ানো অনৈতিক। এটি মানুষকে ডিজিটাল সেবা থেকে দূরে ঠেলে দেবে।”

 

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনগণের পকেট কাটার একটি ফ্যাসিবাদী পদক্ষেপ। গণতন্ত্রের দাবিতে যেসব আন্দোলন হয়েছে, তা ভুলে গিয়ে সরকার জনগণের ওপর অতিরিক্ত অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত।”

 

মোবাইল সেবায় উচ্চ শুল্কের কারণে দেশের ডিজিটাল উন্নয়ন পিছিয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন

বিশেষজ্ঞরা।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সমজাতীয় আরও সংবাদ

Exchange Rate

Exchange Rate EUR: রবি, ৭ সেপ্টে.

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (রাত ৯:০৫)
  • ১৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
  • ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপনার প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র কিনুন হোডেক থেকে।

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১