মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র আশা বে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ নামে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে না এবং এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে বা অর্থায়নে মার্কিন সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। তবে প্রতিবছর এই আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ অংশগ্রহণ করে। মার্কিন সরকার সবসময় ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার সুরক্ষায় নাগরিক সমাজের ভূমিকা স্বাগত জানায়।
তিনি আরও বলেন, আইআরএফ সামিট বা ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মন্তব্য, বক্তব্য বা মতামত মার্কিন সরকারের নীতি বা অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না।
এদিকে বিএনপির মিডিয়া সেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠেয় ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পেজের তথ্য অনুযায়ী, অনুষ্ঠানটি আগামী ৫-৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে এবং এই আমন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এসেছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খানও নিশ্চিত করেছেন যে দলের শীর্ষ নেতারা এই আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তবে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র স্পষ্ট করেছেন যে ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং অনুষ্ঠানটি মার্কিন কংগ্রেসের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়।