যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা পুনর্মূল্যায়ন: রোহিঙ্গা সংকটসহ বৈশ্বিক কর্মসূচিতে প্রভাবের শঙ্কা
যুক্তরাষ্ট্র তার বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম পুনর্মূল্যায়নের অংশ হিসেবে ৯০ দিনের জন্য সব ধরনের উন্নয়ন সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ ও সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে। বৈদেশিক সহায়তার কার্যকারিতা এবং এর সংগতি মূল্যায়নের জন্য এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে।
নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, বৈদেশিক সাহায্য কর্মসূচি পর্যালোচনায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও সংস্থা প্রধানরা বাজেট ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অফিসের সঙ্গে সমন্বয় করবেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবেন। মূল্যায়নের পর, কোন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে, সংশোধন হবে, বা বন্ধ হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় শীর্ষ সহায়তাদানকারী দেশ। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে দেশটি রোহিঙ্গাদের জন্য আড়াই শ কোটি ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগণের জন্য বরাদ্দ ২১০ কোটি ডলার।
২০২৩ সালে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার পরিমাণ ছিল ৪৯ কোটি ডলার। ইউএসএআইডি ছাড়াও দেশটি পররাষ্ট্র দপ্তর, কৃষি বিভাগ, বিচার বিভাগ, জ্বালানি বিষয়ক দপ্তর এবং ফেডারেল ট্রেড কমিশনের মাধ্যমে এ সহায়তা প্রদান করে।
নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি অনেক ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থ ও মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং কখনও কখনও তা বিশ্বশান্তি বিঘ্নিত করছে। ভবিষ্যতে এসব কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা নিশ্চিত করেই সহায়তা দেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে রোহিঙ্গা সংকটসহ বৈশ্বিক বিভিন্ন সহায়তা কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।