প্রিয়ঙ্কা চোপড়া একসময় বলিউডে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন, পরে হলিউডে পাড়ি জমান। সেখানেও তিনি গান, টিভি সিরিজ, সিনেমা এবং রিয়ালিটি শোতে কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ‘কোয়ান্টিকো’, ‘বেওয়াচ’, ‘দ্য ম্যাট্রিক্স রিসারেকশন্স’ এবং সাম্প্রতিক সিরিজ ‘সিটাডেল’-এ তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। আজ তিনি আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে পরিচিত।
তবে বলিউডে তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তখন তিনি নবাগত, মাত্র ১৯ বছর বয়স। ২০০২-২০০৩ সালের এক ঘটনায়, একটি সিনেমায় আন্ডারকভার এজেন্টের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন প্রিয়ঙ্কা। ছবির একটি দৃশ্যে পোশাক খোলার প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তিনি পর্যাপ্ত পোশাক রাখতে চেয়েছিলেন। পরিচালক এতে আপত্তি জানান এবং স্পষ্টভাবে বলেন, “তোমার অন্তর্বাস দেখাতে হবে, না হলে কেউ সিনেমা দেখতে আসবে না।” শুধু একবার নয়, চারবার একই দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনায় প্রিয়ঙ্কা হতবাক হয়ে পড়েন এবং মাত্র দু’দিন কাজ করেই সিনেমাটি ছেড়ে দেন। পরে পুরো ঘটনা বাবা অশোক চোপড়াকে জানালে তিনি আগাম পারিশ্রমিক ফিরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন। সে সময় প্রিয়ঙ্কার মনে হয়েছিল, হয়তো সিনেমা করা ছেড়ে দেবেন, কারণ তিনি এমন অভিজ্ঞতা আর চান না। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি হাল ছাড়েননি এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের আলাদা পরিচয় গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।