শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড ধীরাশ্রম দাক্ষিণখান এলাকায় মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা হয়। এ সময় মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। মাইকিং শুনে বাড়িটি ঘিরে লোকজন জড়ো হন। তাদের অনেকের হাতে রামদাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ছিল।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুরের নেতা মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমাদের কাছে খবর আসে, ধীরাশ্রম এলাকায় সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হচ্ছে। হামলাকারীদের প্রতিহত করতে শিক্ষার্থীরা রওনা হন। দ্রুত ১৫-১৬ জন ঘটনাস্থলে চলে যান। লুটপাটে বাধা দিলে পেছন থেকে হুট করে অনেক মানুষ জড়ো হয়ে যায়। তাদের হাতে রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র ছিল। অন্য শিক্ষার্থীরা আসার আগেই ওই ১৫ জনকে ছাদে নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও পেটানো হয়।’
এলাকাবাসী জানান, রাত ১০টার দিকে মোজাম্মেল হকের বাড়ি থেকে ডাকাত-ডাকাত চিৎকার শোনা যায়। মসজিদের মাইকেও ডাকাত পড়ার কথা ঘোষণা করা হয়। এলাকাবাসী বের হয়ে ধাওয়া দিলে অনেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। কয়েকজন ধরা পড়েন। এলাকাবাসী তাদেরকে মারধর করেন।
পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জয়দেবপুর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন