যুক্তরাজ্যে অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে প্রশাসনের কড়া অভিযান চলছে, যার ফলে ইতিমধ্যেই ৬০৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও কিয়ের স্টারমারের নেতৃত্বাধীন সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই অভিযান পুরো দেশজুড়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং শুধুমাত্র ভারতীয়দের লক্ষ্য করে নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর সময় তাদের হাতে-পায়ে শৃঙ্খল পরানোর ঘটনায় বিতর্ক চরমে পৌঁছেছিল। এবার ব্রিটেনেও ভারতীয় অভিবাসীদের টার্গেট করে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ পুলিশ ভারতীয় মালিকানাধীন রেস্তোরাঁ, নেইল বার, কার ওয়াশ ও কনভিনিয়েন্স স্টোরে তল্লাশি চালাচ্ছে।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার জানিয়েছেন, ৮২৮টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬০৯ জনকে আটক করা হয়েছে। হোম অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ রোধ করা এবং মানব পাচার চক্রের ভুয়া চাকরির প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অভিবাসন নীতির নিয়ম মেনে চলতেই হবে, আর দীর্ঘদিন ধরে চলা এই অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত জুলাইয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে লেবার পার্টি কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণ করেছে। জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে ডিঙি নৌকায় আসা অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা ২৩ হাজারেরও বেশি, যাদের মধ্যে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। ব্রিটেনে অ্যান্টি-ইমিগ্রেশন দল ‘রিফর্ম ইউকে’-এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার বাধ্য হচ্ছে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৯,০০০ অবৈধ অভিবাসীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো সেই বহিষ্কারের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে জনগণ বুঝতে পারে যে সরকার অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।