অর্শ বা পাইলস এবং কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ প্রায় একই রকম। মলদ্বারে রক্তপাত, ব্যথা, অস্বস্তির মতো সমস্যাগুলো উভয় রোগেই দেখা যায়। ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে দুই রোগের পার্থক্য বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকে কোলন ক্যান্সারের লক্ষণকে পাইলস ভেবে উপেক্ষা করেন, যা মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে। তাই সময় থাকতে এই দুটি রোগের লক্ষণ ও পার্থক্য জানা জরুরি।
পাইলসের লক্ষণ:
• মলত্যাগের সময় উজ্জ্বল লাল রঙের রক্তপাত (কারণ এটি বেশি পুরোনো নয়)।
• মলত্যাগের সময় মলদ্বারে ব্যথা বা অস্বস্তি।
• মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি বা জ্বালা।
• মলদ্বারের বাইরে ফোলা বা মাংসপিণ্ড অনুভব হওয়া।
কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ:
• মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন (যেমন দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য)।
• মলের রঙ কালো বা গাঢ় লাল হওয়া, সরু ফিতের মতো মল নির্গত হওয়া।
• পেটে ব্যথা, ক্র্যাম্প বা গ্যাসের সমস্যা।
• অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস, ক্লান্তি বা দুর্বলতা।
• মলদ্বারে রক্তপাত, যা দীর্ঘদিন শরীরের ভেতরে থাকার কারণে গাঢ় রঙের হয়।
কীভাবে পার্থক্য করবেন?
• পাইলস সাধারণত মলদ্বারের চারপাশে হয়ে থাকে, কিন্তু কোলন ক্যান্সার হতে পারে কোলনের যেকোনো অংশে।
• পাইলসের ব্যথা সাধারণত মলত্যাগের সময় হয়, কিন্তু কোলন ক্যান্সারের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
পাইলস এবং কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ মিল থাকার কারণে নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। তাই যদি মলদ্বারে রক্তপাত হয়, মলত্যাগের অভ্যাসে ঘন ঘন পরিবর্তন আসে, দীর্ঘ সময় কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া থাকে, পেটে অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সতর্ক থাকুন, সুস্থ থাকুন!
নিজেকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করা গেলে কোলন ক্যান্সারের মতো জটিল রোগও প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই দেরি না করে এখনই সচেতন হোন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।