গাজায় ১৫ জন জরুরি সেবাকর্মী হত্যার ঘটনায় ভুল স্বীকার করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
গাজা, ৬ এপ্রিল ২০২৫ – ইসরায়েলের সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে ২৩ মার্চ গাজার দক্ষিণে জরুরি সেবাকর্মীদের একটি বহরে হামলা চালিয়ে ১৫ জন চিকিৎসাকর্মীকে হত্যার ঘটনায় তাদের সৈন্যরা “গুরুতর ভুল” করেছে।
শুরুতে ইসরায়েল দাবি করেছিল, এই কনভয়টি রাতে “সন্দেহজনকভাবে” এগিয়ে এসেছিল, যাদের গাড়িতে হেডলাইট বা জরুরি ফ্ল্যাশিং লাইট ছিল না। কিন্তু শনিবার প্রকাশিত এক মোবাইল ভিডিও—যা নিহত এক প্যারামেডিক নিজেই ধারণ করেছিলেন—সেখানে দেখা যায়, গাড়িগুলোর হেডলাইট এবং ফ্ল্যাশ লাইট জ্বলছিল এবং তারা আহত ব্যক্তিদের সহায়তায় যাচ্ছিল।
শনিবার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বিরলভাবে স্বীকার করে যে এটি একটি “ভুল চিহ্নিতকরণ” এবং “মাঠপর্যায়ে সৈন্যদের ভুল সিদ্ধান্ত”-এর ফল। তারা জানিয়েছে, এ ঘটনায় গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করছে এবং একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে যাতে দায় নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানো যায়।
IDF-এর একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা স্বীকার করছি যে জরুরি গাড়িগুলোর চিহ্ন এবং আলো ছিল, যা সঠিকভাবে কাজ করছিল। এই মর্মান্তিক ঘটনা কখনোই ঘটার কথা ছিল না। নিহতদের পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই।”
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং একটি স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, এই ধরনের হামলা সংঘাতপূর্ণ এলাকায় মানবিক কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে।
এই ঘটনাটি গাজায় ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রম নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। চিকিৎসা দলগুলো, যারা ইতোমধ্যেই কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করছে, জানিয়েছে যে, এ ধরনের হামলা তাদের কাজকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।
তদন্ত চলমান থাকলেও নিহতদের পরিবার ও মানবিক সংস্থাগুলো বিচার এবং ফ্রন্টলাইনে কাজ করা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে।
সংগ্রহীত: বিবিসি ইউকে থেকে
এই ঘটনার সর্বশেষ আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গে থাকুন।