বাণিজ্য আলোচনা চায়লে যুক্তরাষ্ট্রকে সব শুল্ক তুলে নিতে হবে: চীনের কঠোর বার্তা, ‘চুক্তি হচ্ছে’ খবরকে ভুয়া বলল বেইজিং
চীন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই একতরফাভাবে আরোপিত সব শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এটিকে বেইজিংয়ের অন্যতম কঠোর অবস্থান হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বারবার দাবি করা সত্ত্বেও যে আলোচনা চলছে, চীন বলেছে—বর্তমানে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক বা বাণিজ্য আলোচনা চলছে না।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হে ইয়াদোং বলেন, “এই বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রই। সমতার ভিত্তিতে সংলাপ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার আগে তাদের উচিত সব শুল্ক প্রত্যাহার করা।”
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট স্বীকার করেছেন যে এই বাণিজ্য পরিস্থিতি স্থায়ীভাবে চলতে পারে না এবং উভয় পক্ষকেই উত্তেজনা প্রশমনের পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, ট্রাম্প একতরফাভাবে কোনো শুল্ক প্রত্যাহার করবেন না, বরং পরবর্তী পদক্ষেপ চীনের ওপর নির্ভর করছে।
এই প্রেক্ষাপটে চীন সাম্প্রতিক কিছু সংবাদ প্রতিবেদনে দাবি করা সম্ভাব্য চুক্তিকে ‘ভুয়া খবর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, শুল্ক নিয়ে কোনো আলোচনাই সম্প্রতি হয়নি।
চীন একাধিকবার জানিয়ে দিয়েছে যে তারা সংলাপে আগ্রহী, তবে এর শর্ত হিসেবে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে। এক চীনা প্রবাদ উদ্ধৃত করে হে ইয়াদোং বলেন, “ঘণ্টায় যে ঘণ্টা বেঁধেছে, খুলতেও তাকেই হবে”—অর্থাৎ সমস্যার উৎস যিনি, সমাধানের উদ্যোগও তাকেই নিতে হবে।
ট্রাম্প ইলেকট্রনিকসসহ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক কিছুটা শিথিল করলেও উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপ করে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, আর চীন পাল্টা হিসেবে ১২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে।
চীনা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ব্যাপক পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরাসরি ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নেবেন না।