সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় দেশের সাবেক শাসক দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা এবং ফৌজদারি মামলায় সাক্ষীদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাতের শেষদিকে ঘোষিত এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে, যার ফলে রাজনৈতিক দল এবং তাদের সহযোগী ইউনিট বা সমর্থক গোষ্ঠী—যাদের অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত বলে বিবেচনা করা হচ্ছে—তাদের বিরুদ্ধে বিচার কাজ পরিচালনা সম্ভব হবে।
এই নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগের অনলাইন কার্যক্রমের উপরও প্রযোজ্য হবে এবং দলটির ও এর নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আওয়ামী লীগের অনলাইন কার্যক্রমও পড়বে। দলটির এবং এর নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান মামলার বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এই বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা সংবলিত একটি সরকারি প্রজ্ঞাপন পরবর্তী কর্মদিবসে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও, একটি পৃথক সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা পরিষদ “জুলাই ঘোষণা” সম্পন্ন করার জন্য ৩০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। উল্লেখ্য, এই ঘোষণাটি ২০২৪ সালের আগস্টে হাসিনা প্রশাসনের পতনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত।