বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে ১১ মে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন ইউনূস সরকারের এ সিদ্ধান্তকে “অবৈধ, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক” আখ্যা দিয়ে বক্তারা তীব্র নিন্দা জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জালাল উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক। বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমান, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক মেয়র আনোয়ার উজ্জামান চৌধুরী, প্রাক্তন এমপি হাবিবুর রহমান হাবিবসহ যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি স্বাধীনতার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং কোটি বাঙালির আবেগের প্রতীক। তারা অভিযোগ করেন, এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি স্বাধীনচেতা সংগঠনকে নিষ্ক্রিয় করার অপচেষ্টা চলছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক হুমকি।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে “জয় বাংলা”, “জয় বঙ্গবন্ধু” এবং “জয় শেখ হাসিনা” স্লোগানে মুখরিত হয় লন্ডনের রাজপথ।
একই দাবিতে ১২ মে ওয়েলসের কার্ডিফ শহরেও ইউকে ওয়েলস আওয়ামী লীগের আয়োজনে পৃথক এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়েলস আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এম.এ. মালিক। সেখানে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য দেন এবং আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত বলে উল্লেখ করেন।
বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না। যতদিন বাংলাভাষা ও বাঙালি জাতি থাকবে, ততদিন আওয়ামী লীগ থাকবে মানুষের হৃদয়ে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন তথাকথিত অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো একে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর আঘাত হিসেবে বিবেচনা করছে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এই সিদ্ধান্তকে “বিভেদমূলক” এবং “গণতান্ত্রিক নীতির পরিপন্থী” বলে আখ্যা দিয়েছে।