রিয়াদ থেকে প্রতিবেদক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান রিয়াদে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই চুক্তির আর্থিক মূল্য প্রায় ১৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১০৭ বিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড, যা যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান থেকে অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও সেবা সরবরাহ করবে।
চুক্তিটি শুধুমাত্র অস্ত্র বিক্রির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর আওতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি এবং জ্বালানি উৎপাদন খাতে সৌদি বিনিয়োগও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হোয়াইট হাউসের তথ্যমতে, এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের সামরিক খাতের আধুনিকায়নের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে প্রযুক্তি ও নিরাপত্তা খাতে বিপুল বিনিয়োগ নিশ্চিত হবে।
চুক্তির মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে:
এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরের সময়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি যুবরাজকে ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে বলেন, “আমি মনে করি, আমরা একে অপরকে সত্যিই পছন্দ করি। আমাদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।”
আজ ট্রাম্প সৌদি রাজধানী রিয়াদের উপকণ্ঠে অবস্থিত ইউনেস্কো ঘোষিত ঐতিহাসিক স্থান ‘দিরিয়াহ আত-তুরাইফ’ পরিদর্শন করবেন এবং সন্ধ্যায় একটি রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় যোগ দেবেন।
এই সফর মার্কিন প্রেসিডেন্টের চার দিনের বৃহৎ মধ্যপ্রাচ্য কূটনৈতিক সফরের প্রথম ধাপ। সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে শত শত বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যে সৌদি আরব ইতোমধ্যেই ৬০০ বিলিয়ন ডলারের একটি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার মধ্যে অস্ত্র চুক্তি অন্যতম প্রধান অংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে এবং সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় আমূল পরিবর্তন আনবে।