রিফর্ম ইউকে নেতা নাইজেল ফারাজ ঘোষণা করেছেন, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে ব্রিটেনে বিদ্যমান স্থায়ী বসবাসের অনুমতি (Indefinite Leave to Remain – ILR) ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বাতিল করা হবে। এর ফলে বৈধভাবে বহু বছর ধরে দেশে বসবাসরত ও কাজ করা হাজারো মানুষ বহিষ্কারের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
ফারাজ দাবি করেছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি মোকাবিলা করবেন তথাকথিত “বোরিসওয়েভ”—যা বোঝাচ্ছে বরিস জনসনের সময়কার অভিবাসন নীতির কারণে বৈধ অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াকে। ইউক্রেন, হংকং ও আফগানিস্তান থেকে শরণার্থীদের জন্য চালু হওয়া বিশেষ কর্মসূচি এই বৃদ্ধির মূল কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রিফর্ম ইউকের পরিকল্পনা অনুযায়ী—
রিফর্মের দাবি, এসব পরিবর্তন আনলে দেশ প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় করবে। তবে এই পরিসংখ্যানের উৎস—সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজ—ইতিমধ্যে রিপোর্ট প্রত্যাহার করেছে, এবং জানিয়েছে এ হিসাব ব্যবহারযোগ্য নয়।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
লেবার পার্টি ফারাজের প্রস্তাবকে “অবিশ্বাস্য” এবং “অর্ধসিদ্ধ” বলে আখ্যা দিয়েছে। দলের এক মুখপাত্র বলেন, “ফারাজের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়, বরং অভিবাসীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা।”
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেন, “হাজারো লন্ডনবাসী স্থায়ী বসবাসের অনুমতির মাধ্যমে এখানে আইনত বসবাস করছে। তারা আমাদের বন্ধু, সহকর্মী ও প্রতিবেশী—যারা আমাদের শহরে বিরাট অবদান রাখছে। বৈধভাবে বসবাসরত মানুষকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া অগ্রহণযোগ্য।”
বর্তমানে ব্রিটেনে যারা বৈধভাবে পাঁচ বছর বসবাস ও কাজ করেন, তারা ILR এর জন্য আবেদন করতে পারেন। এক বছর ILR বজায় রাখার পর তারা ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার যোগ্য হন। প্রতিটি ধাপে উচ্চ ফি গুনতে হয়।
অন্যদিকে লেবার পার্টি ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা ILR আরও কঠোর করতে চায়—যেখানে আবেদনকারীদের কমপক্ষে ১০ বছর ব্রিটেনে বসবাস করতে হবে।
ফারাজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নতুন নীতি ঘোষণা করবেন। ডেইলি মেইলে লেখা এক নিবন্ধে তিনি বলেন, “টোরি ও লেবার ব্রিটেনকে বিশ্বের জন্য ফুড ব্যাংক বানিয়ে ফেলেছে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতেই রিফর্ম এগোবে।”