প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি নতুন ট্যারিফ (শুল্ক) আরোপের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের জন্য বিরতি দিচ্ছেন, তবে চীনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। বরং চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫% করা হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, “আমি ৯০ দিনের জন্য একটি বিরতির অনুমোদন দিয়েছি এবং এই সময়ের মধ্যে পারস্পরিক শুল্ক হ্রাস করে ১০% নির্ধারণ করেছি, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।”
তবে ঠিক কোন কোন দেশ এই বিরতির আওতায় আসবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের মন্তব্য জানার চেষ্টা করছে বাংলারধনি।
চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় চীনকে চাপ দিতে এই শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, “বিশ্বের বাজারের প্রতি চীনের যে অবজ্ঞা, তার ভিত্তিতে আমি চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ১২৫ শতাংশে উন্নীত করছি। আশা করি, শিগগিরই চীন বুঝবে যে, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে ঠকিয়ে চলা আর চলবে না।”
বারস্টুল স্পোর্টসের প্রতিষ্ঠাতা ডেভ পোর্টনয়, যিনি ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছিলেন, জানিয়েছেন তিনি এখনো প্রেসিডেন্টের ট্যারিফ নীতির ফলাফল দেখার জন্য অপেক্ষা করতে রাজি। তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে অস্থিরতার কারণে তার নিট সম্পদ কোটি কোটি ডলার কমেছে।
পোর্টনয় সিএনএন-কে বলেন, “আমি মনে করি, তিনি যা করছেন তা বিশ্বাস থেকে করছেন এবং চীনকে শক্তভাবে মোকাবেলা করে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও ভালো চুক্তি আদায় করতে চাচ্ছেন। আমি তাকে এখনো সময় দিতে প্রস্তুত।”
তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে যদি মার্কেটে উন্নতি না হয়, তবে আমেরিকান জনগণ তখনই তাদের মত জানাবে। তবে এখনই পিছিয়ে গেলে তা হবে দুর্বলতা প্রকাশ, যা পুরো প্রচেষ্টাকেই ব্যর্থ করবে।
তিনি বলেন, ‘মেইন স্ট্রিট’ (সাধারণ জনগণ) ও ‘ওয়াল স্ট্রিট’ (বিনিয়োগকারী বাজার) আলাদা করে দেখা এখন আর বাস্তবসম্মত নয়, কারণ সাধারণ আমেরিকানরাও এখন সহজেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে।
তবে বারস্টুলের তরুণ পুরুষ দর্শকদের অনেকেই মার্কেট নিয়ে আগ্রহী হলেও, পোর্টনয়ের মতে, “এখনই কেউ পালাচ্ছে না। এখনও অনেক সময় বাকি।”