রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি গোপন “হিটলিস্টে” যুক্তরাজ্যের একাধিক শহর ও শিল্পাঞ্চল রয়েছে, যেগুলো পরমাণু হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান অবস্থায়, পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে ন্যাটো সমর্থনকারী দেশগুলোর প্রতি পুতিনের হুমকি দিনে দিনে আরও তীব্র হচ্ছে।
গোপন নথিপত্র থেকে জানা গেছে, রাশিয়ার তৈরি ওই তালিকায় ন্যাটো জোটভুক্ত ৩২টি লক্ষ্যবস্তু রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কামব্রিয়ায় রয়্যাল নেভির পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণ ইয়ার্ড, হাল শহরের একটি কারখানা এবং এডিনবরার নিকটবর্তী রোসাইথে বিমানবাহী রণতরী নির্মাণ শিপইয়ার্ড। আরও কিছু শহর যেমন আল্ডারশট, কোলচেস্টার, পোর্টসমাউথ, চ্যাথাম, টিডওয়ার্থ এবং সলসবারিও রয়েছে এ তালিকায়।
ব্রিটিশ সরকারের একটি সূত্র জানায়, “এই তথ্যে একটি উচ্চমাত্রার হামলার পাশাপাশি নিম্নমাত্রার হামলার পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ রয়েছে। যুক্তরাজ্যের ওপর একটি রুশ বিমান হামলা শুধু যুক্তরাজ্যের সাথেই নয়, বরং সমগ্র ন্যাটো জোটের সাথেই যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে।”
এ হুমকি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন পুতিন ইউক্রেনে তিনদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। ৮ থেকে ১১ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণার উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার “ভিক্টরি ডে” উদযাপন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের স্মরণে পালিত হয়। ঐ যুদ্ধে প্রায় ২৭ মিলিয়ন সোভিয়েত নাগরিক প্রাণ হারান।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা জানান, “এ যুদ্ধবিরতির একমাত্র বাধা কিয়েভ সরকার, যারা শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনায় অনাগ্রহী।” তিনি বলেন, “৮ থেকে ১০ মে ঘোষিত এই যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর আচরণই তাদের প্রকৃত শান্তিচেতনার পরিচয় দেবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এ হুমকি শুধু সামরিক দিক থেকেই নয়, বরং কূটনৈতিকভাবে পশ্চিমা বিশ্বের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটি কৌশল হিসেবে দেখছেন অনেকেই।