যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ভারত-ভিত্তিক কিছু ট্রাভেল এজেন্সির মালিক ও কর্মীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অভিবাসনে সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভারতে অবস্থানরত মিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, অজ্ঞাতসংখ্যক নাম প্রকাশ না করা ব্যক্তির ওপর ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই এমন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, কিন্তু সাধারণত যাদের বিরুদ্ধে তা আরোপ করা হয়, তাদের নাম প্রকাশ করে না।
ব্রুস বলেন, “আমরা ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিক, নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ অব্যাহত রাখব, যাতে অবৈধ অভিবাসন সহায়তাকারী নেটওয়ার্কগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করা যায়।” তবে কীভাবে এসব ট্রাভেল এজেন্সি অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
এই পদক্ষেপটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী কঠোর নীতিমালার অংশ হিসেবে এসেছে, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত অনিবন্ধিত অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বারবার ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করে জানিয়ে আসছে—যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের অনুমোদিত সময়সীমা অতিক্রম করা হলে, তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হতে পারে।