ব্রিটেনের চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস আজ একটি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে চলেছেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে “ইউথ গ্যারান্টি”। প্রধানমন্ত্রী দলীয় সম্মেলনে তিনি বলবেন, যেসব যুবক–যুবতী ১৮ মাস ধরে কাজ করছেন না বা শিক্ষা–প্রশিক্ষণে নেই, তাদের জন্য সরকার একটি নিশ্চয়ক কর্মসংস্থান বা প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করবে।
কি থাকবে এই প্রস্তাবে?
- যারা ১৮ মাস ধরে কাজ–শিক্ষা–প্রশিক্ষণে নেই, তারা পাবেন কালেরোপযোগী কাজের প্রস্তাব বা অধিকারের ভিত্তিতে সমমানের প্রশিক্ষণ / আপ্রেন্টিসশিপ।
- যদি কেউ যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া এই ধরনের কাজ/প্রশিক্ষণ/আপ্রেন্টিসশিপের প্রস্তাব গ্রহণ না করেন, তাহলে তাদের ভাতা (benefits) কমিয়ে দেওয়া হবে বা বন্ধ করা হতে পারে।
কেন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে?
- রীভস বলছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে কর্মসংস্থান–শিক্ষা–প্রশিক্ষণের বাইরে থাকা যুবদের ভবিষ্যতে বারবার বেকারত্ব, কম বেতন ও মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে।
- তিনি চান যুবদের সম্ভাবনা নষ্ট না হোক; তাঁদের “অভ্যর্থনায় বন্ধ” অবস্থায় রাখতে না হয়; এক ধরনের শৃঙ্খলা ও সুযোগের ভারসাম্য রক্ষা করা হবে।
প্রতিক্রিয়া ও চ্যালেঞ্জ
- কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক বিশ্লেষক বলছেন, কাজের সুযোগ ও তার গুণগত মান কতটা হবে তা গুরুত্বপূর্ণ; শুধু বাধ্যতা আর ভাতা বন্ধ করা যথেষ্ট নয়।
- বাজেট ও অর্থায়ন কোথা থেকে হবে, তা আগামী নভেম্বর বাজেটে স্পষ্ট করা হবে বলে রীভস জানিয়েছেন।
বর্তমানে প্রায় নয় লাখ যুব, যারা বয়স ১৬-২৪ এর মধ্যে, শিক্ষা, কাজ বা প্রশিক্ষণ–কোন বিভাগেই নেই (NEET)। এই সংখ্যা গত চার বছরে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে।