সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রাশেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
রাশেদ চৌধুরী ১৯৬৯ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭৬ সালে তিনি জেদ্দায় বাংলাদেশ মিশনে দ্বিতীয় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান। পরবর্তী সময়ে নাইরোবি, থাইল্যান্ড, লিবিয়া, জার্মানি, কুয়ালালামপুর, ব্রাসিলিয়া, নাইজেরিয়া এবং কানাডার বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনে কাজ করেছেন।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর টোকিওতে কূটনীতিক হিসেবে থাকা অবস্থায় তাকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তিনি দেশে ফেরার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এরপর তাকে বরখাস্ত করা হয় এবং তার চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ১ দশমিক ১৫ একর জমি সরকার কর্তৃক জব্দ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পর ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে রাশেদ চৌধুরীসহ পলাতক অন্য আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ১৮ নভেম্বর উচ্চ আদালত ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। ২০১০ সালে ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হলেও রাশেদ চৌধুরীসহ পলাতক অন্য আসামিদের রায় এখনো কার্যকর হয়নি।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন সময়ে মার্কিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো সফলতা মেলেনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের টকশোতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আরেক আসামি মেজর (অব.) শরিফুল হক ডালিম উপস্থিত হয়ে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘটনাসহ বিভিন্ন নেপথ্য তথ্য তুলে ধরেন। ওই লাইভ ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এবার ইলিয়াস হোসেন আগামী ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় আরেক পলাতক আসামি লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রাশেদ চৌধুরীকে তার টকশোতে আনার ঘোষণা দিয়েছেন।