যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প পুরোনো নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বহাল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো আশঙ্কা করছে, এবারও তিনি আরব ও মুসলিম দেশগুলোর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন। সোমবার শপথ নেওয়ার পরই একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প, যা এ ধরনের পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেয়।
মুসলিম দেশগুলো নিয়ে উদ্বেগ
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প তার নির্বাহী আদেশে উল্লেখ করেছেন যে, বিদেশি সন্ত্রাসী এবং জাতীয় ও জননিরাপত্তার হুমকি মোকাবিলায় ৬০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গোয়েন্দা সংস্থা, বিচার বিভাগ এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এই সময়ের মধ্যে নির্ধারণ করবে কোন দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
এদিকে, মানবাধিকার সংগঠন আমেরিকান-আরব অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন কমিটি (এডিসি) অভিযোগ করেছে, ট্রাম্পের আদেশ মুসলিম ও আরব দেশগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথ সুগম করবে। ২০১৭ সালে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পরও তিনি এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এডিসি জানায়, নতুন আদেশের ফলে অনেকের ভিসা আবেদন বাতিল হতে পারে এবং কেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে পড়তে পারেন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি হটলাইন চালু করেছে এডিসি।
সীমান্তে সেনা মোতায়েন
হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ১ হাজার ৫০০ সেনা দক্ষিণ সীমান্তে মোতায়েনের জন্য একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো এবং টেক্সাসের এল পাসোতে এই সেনারা মোতায়েন করা হবে। এর আগে সীমান্তে ২ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েন ছিল।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ সরকারি নথির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে মোট ১০ হাজার সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছেন। পাশাপাশি, অভিবাসীদের নির্বাসনের জন্য প্রতিরক্ষা বিভাগের ঘাঁটিগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের (সিবিপি) একটি নথিতে দেখা গেছে, এই পরিকল্পনা ট্রাম্পের শপথ নেওয়ার এক দিন পর, ২১ জানুয়ারি অনুমোদিত হয়েছে।