রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় ছয়জনের জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। এদের মধ্যে দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে—একজন পটুয়াখালীর বাউফলের প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম এবং অন্যজন শ্রমিক দলের নেতা সুমন মোল্লা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম পেশাদার ডাকাত এবং এর আগেও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য। অন্যদিকে, সুমন মোল্লা একই উপজেলার পাশের গ্রাম আয়নাবাজ কালাইয়ার বাসিন্দা ও কালাইয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, আমিনুল একাধিক ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৯ নভেম্বর জেলা পুলিশের এক অভিযানে সাতজন ডাকাতসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তদন্তে উঠে আসে, তিনি শুধু ডাকাতি নয়, অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবেও কাজ করতেন এবং একাধিক ডাকাতির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি এসব অপরাধ স্বীকারও করেন।
এদিকে, আমিনুল গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এসব ছবিতে সাবেক চিফ হুইপ ও পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ফিরোজের ছেলে রায়হান সাকিব, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আমিনুলকে দেখা যায়।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক হাসান মাহমুদ মঞ্জু বলেন, “আমি সুমন মোল্লাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তিনি কীভাবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হলেন, তা জানি না। তবে ইউনিয়ন শ্রমিক দলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত তাকে বহিষ্কার করার জন্য।”
বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমিনুল একজন পেশাদার ডাকাত এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আগেও তিনি ডাকাতি মামলায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”